মনির খাঁন।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক জুয়েলারি দোকান থেকে ক্রেতা সেজে স্বর্ণ চুরির অভিযোগে রুনা আক্তার নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রুনা আক্তার জেলার হোমনা উপজেলার জয়পুর গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী।পুলিশ জানায়, উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের নিপ্পন জুয়েলার্সে রোববার দুপুরে আসে ওই নারী দুপুরে অভিনব কায়দায় চাউলের পেকেট পরিবর্তন করে ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে ঘটনা স্থল ট্যাগ করেন।
বিষয় টি নিপ্পন জুয়েলার্সের কতৃপক্ষ টের পেয়ে চাউলের বক্সসহ বনিক সমিতির নেতা বাবু চন্দন বনিক ও হাজীহান্নান মিয়াকে অবহিত করে।উক্ত ঘটনা শুনে নেতৃবৃন্দ মুরাদনগর থানা ইনচার্জ মোঃআজিজুল বাড়ী ইবনে জলিলকে অবহিত করেন। বিষয় টি অফিসার ইনচার্জ ও থানা তদন্ত ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন বৈঠক শেষে তদন্ত অফিসার জয়নাল সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে একটি মোবাইল কলকে পুজি করে অনুসন্ধানে বেরিয়ে পরেন।
পুলিশ সূত্র ও জুয়েলার্সের মালিক কতৃপক্ষের সূত্রে জানাযায় গতকাল ১১ ই জুন বিকালে রুনা নামে এক নারী ক্রেতা সেজে প্রবেশ করে ৯ ভরি ওজনের স্বর্ণ ক্রয় করার অঙ্গীকারে অলংকারের বক্স সাদা কষ্ট টেপ দ্বারা মোড়ানোর জন্য বলেন দোকানীকে। দোকানী রুনার কথা মত গহনা বক্সে ভরাট করে কষ্ট টিপ দ্বারা মোড়ানো করে রুনার হাতে দেয়। রুনা পূর্ব থেকে খালি গহনার বক্সে চাউল ঢুকিয়ে সাদা কষ্ট টিপ মুড়িয়ে হ্যান্ড ব্যাগে রাখেন,তা দোকানীর জানা ছিলো না,এমনি সময় রুনা টাকা বের করবে অভিনয়ে গহনার বক্স ব্যাগে ঢুকিয়ে চাউলের নকল বক্সটি হুবুহু বের করে দোকানী কে দেন, এবং বলেন পরে নিবো টাকার শর্ট বলে চলে যায়।
পরক্ষণেই দোকানী বক্স খুলে দেখে স্বর্ণের পরিবর্তে চাউল ঢুকিয়ে রাখা বক্স।পুলিশ অতীত কল রেকর্ডের সূত্র ধরে প্রথমে হোমনা থানার চান্দের গ্রামে যায়,সেখান থেকে ৯ নং ইউনিয়ন জয়পুর যায়, তার গনিয়ার চর যায়, সারা রাত অভিযান চালিয়ে রুনাকে ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার তাঁর সাথে থাকা ৩ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা সহ ১১ ঘন্টার ভিতরে আটক করে মুরাদনগর থানা পুলিশ, চুরির কথা স্বীকার করলে ১২ ই জুন সোমবার স্বর্নসহ রুনাকে কোর্টে চালান করে।জানাযায় রিনার স্বামী রাসেল বাড়ি জয়পুর,বাবার বাড়ী গনিয়ারচর।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page